৪০০ কোটি টাকার লেনদেন বিতর্ক: এনসিপি নেতা তানভীরের জোরালো অস্বীকার, তদন্তের আহ্বান

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব তানভীর, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত ৪০০ কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে নিজের নির্দোষতা প্রমাণে যেকোনো তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বলে জানান।
তানভীর বলেন, "কাগজ সিন্ডিকেটের সঙ্গে আমার কোনো ধরনের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই। দেশের যেকোনো তদন্ত সংস্থা, যেমন ডিজিএফআই বা এনএসআই, এই অভিযোগের তদন্ত করতে পারে। যদি তারা এক টাকারও লেনদেন প্রমাণ করতে পারে, আমি যেকোনো শাস্তি মেনে নেব। অন্যথায়, যারা আমার চরিত্র হননের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়েছে।"
তিনি রাখাল রাহার সঙ্গে তার নাম জড়ানোকে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন। তানভীর বলেন, "যারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, তারা নতুন রাজনৈতিক দলের একজন ধর্মপ্রাণ নেতাকে সহ্য করতে পারছে না। তাই এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "মূল অভিযোগ রাখাল রাহার বিরুদ্ধে হলেও, কৌশলে আমার নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে সামনে এনে আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই চক্রান্ত সবার বোঝা উচিত। ধর্ম এবং একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা এখানে স্পষ্ট।"
তানভীর জোর দিয়ে বলেন, "আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। তারা প্রমাণ করুক, না পারলে ক্ষমা চাক। অতীতে ডিসি নিয়োগের সময়ও আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল। তদন্ত কমিটি পরে জানিয়েছিল, সেখানে কোনো লেনদেনের প্রমাণ মেলেনি। এবারও একই ঘটনা ঘটছে।"
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান ফেসবুক স্ট্যাটাসে এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপার কাগজ থেকে ৪০০ কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ তোলেন, যেখানে তানভীরের নামও উল্লেখ করা হয়।
এই অভিযোগের জবাবে তানভীর বলেন, "আমার কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই। কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।"