হাদিকে স্মরণে ইবি মিউজিক এসোসিয়েশনের গান, ক্ষোভে শিক্ষার্থীরা

হাদিকে স্মরণে ইবি মিউজিক এসোসিয়েশনের গান, ক্ষোভে শিক্ষার্থীরা
  • Author, ইবি প্রতিনিধি
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

শহিদ ওসমান হাদির মৃত্যুতে দেশাত্মবোধক গানে গানে স্মরণ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) মিউজিক এসোসিয়েশন। তবে ভারতীয় আধিপত্য ও কালচারাল হেজিমনির বিরুদ্ধে লড়াই করে একজন প্রাণ দেওয়া শহিদের এমন স্মরণকে ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে খালি গলায় দেশাত্মবোধক গানের আয়োজন করে সংগঠনটি।

এর আগে মিউজিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ইশতিয়াক ফেরদৌস ইমন তার ফেসবুক স্টাটাসে ঘোষণা দেন, ‘উসমান হাদির মৃত্যুতে আমরা শোকাবহ এক যাত্রার আহ্বার জানাচ্ছি। দেশাত্মবোধক গান করে তার দেশমাতৃকার প্রতি আবেগঘন ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগ সকলের সামনে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিক এসোসিয়েশান আগামীকাল খালি গলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দেশাত্মবোধক গান গাইবে। আশা করছি সকলেই আমাদের এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন।’

এদিকে সকালে আয়োজিত গানের আসর দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

জুনায়েদ খান নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, তোদের বাপ-দাদাদের গিয়ে বলিস যে, আপনাদের মৃত্যুর পর আপনাদের স্মরণ করার জন্যি একটু গানবাজনা করতে চাই, আপনারা কি বলেন? নিশ্চিত তোদের মুখে জুতা মারবে। এই ভণ্ডরা, গাজা কম করে খাইস, যদি একটু আত্মোপলব্ধি বা অনুশোচনা জাগ্রত হয়।

জুলাই বিপ্লবে সম্মুখ সারির এক নারী শিক্ষার্থী তাজমিন রহমান  লিখেছেন, কী পরিমাণ গোয়ার চিন্তা করা যায় না সকালে উঠে ভাবছিলাম এটাই করবে। আগাম বলা হয়েছিলো। অথচ গোয়ার্তমি করে ওইটাই করলো। তাদের ভন্ডামি আমজনতা বুঝে। একটা প্রতিবাদ মিছিলে তারে খুঁজে পাওয়া যায় না, অথচ ফুটেজ খাইতে এসব লেইম কাজ করে বসে। কেনরে ভাই আজকের দিনটা চুপ থাকলে কী হতো?

আবির হাসান নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, মৃত মানুষের স্মরণে গান গাচ্ছেন। বাহ। বিবেকবোধ কি বেচে খেয়েছেন নাকি কখনো ছিলোই না?
একটা অনুরোধ থাকবে, আপনার বাবা-মা মারা গেলে একটু গান গাইয়েন। আমরা সকলে গলা ছেড়ে গাইবো আপনাদের সাথে।

শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ লিখেন, মিউজিক এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হাদী ভাইয়ের সম্মানে আজ থেকে সকল ভারতীয় গান ও সংস্কৃতি বর্জন করা হোক। হাদী ভাই তো আগা গোড়া ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন।

এসিসিই বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফা জামান লিখেছেন, এমনই সেন্সলেস  এরা যে মারা গেলে কী করা উচিত সেটুকুও বুঝে না। সবকিছু এদের বিতর্কিত করা লাগবে। ইভেন মৃত‍্যুটাও!

এদিকে ইশতিয়াক ইমন প্রত্যুত্তরে এক কমেন্টে জানান, ‘হাদি নিজেও একজন শিল্পী ছিলো। রাজনীতির মধ্যে শিল্পী আছে এইটা হাদি ভাইয়ের মধ্যেই ছিলো। এমন অনেক বড় বড় আয়োজনে হাদি ভাই সম্মুখ সারিতে ছিলো যেখানে দেশাত্মবোধক গান হতো, কথা হতো, কবিতা হতো।’

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ