দেশান্তরেই কী আমাদের মুক্তি?
- Author, এন জাহান, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
-
২০২৪ এ মনে যে আশা জেগেছিলো, দেশের হয়ে, দেশ নিয়ে কাজ করার যে স্পৃহা ছিলো, ২৪ পরবর্তী সময়ে তা যেন উবে যাচ্ছে।২০২৪ এর আগের দশকে পরিচিত মহলের অধিকাংশ পরিশ্রমী-মেধাবী ছেলেরা দেশ ত্যাগ করেছে। তাদের হতাশার এবং আশার প্রায়োরিটি ছিলো “তাদের ভ্যালিডেশন”। তাদের পরিশ্রমের স্বীকৃতি, তাদের মেধার মূল্যায়ন, তাদের গবেষণার আগ্রহ।
এছাড়াও বহু ছেলেরা দেশ ছেড়েছে সততা চর্চা বজায় রাখতে। দেশ ত্যাগের কথায় তারা আশাহত সুরে বলতো ‘দেশে থাকলে সৎ থাকতে পারবোনা ভাই’।
এখন তারা ভালো আছেন। প্রত্যেকে ভালো আছেন। প্রত্যেকদিন জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নতুন শিক্রি পায় তারা। আলহামদুল্লিয়াহ।
এদিকে, দীর্ঘদিনের গোলামির পর- বন্দিত্বের পর আমাদের জীবনে জুলাই-আগস্ট এলো। আমরা নতুন করে দেশের তরে মাথা দিলাম, মেধা দিলাম, শ্রম দিলাম। আমাদের শহীদ ভাইয়েরা রাজপথে জীবন দিলো। আমরা নেতৃত্ব তুলে দিলাম আমাদের পাশে থাকা গুরুজনদের, সতীর্থদের। তারপর কী হলো??
আমাদের দেওয়া দায়িত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, আমাদের নিরাপত্তাকে হরণ করে আমাদের বুলেটের মুখে দাঁড় করিয়ে কোথাও হারিয়ে গিয়েছে আমাদের নেতৃত্ব মুখ।
আর আমরা হারিয়েছি সত্য-সাহস-সততার বর্তিকা আমাদের শরীফ ওসমান হাদি ভাইকে। জুলাই পরবর্তী এই এসিনেশন রাষ্ট্রের সকল ব্যর্থতাকে উলঙ্গ করে দিয়েছে। আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে এই দেশে আমরা মিথ্যা-অনিরাপত্তা-দাঙ্গা-হত্যা’র জালে বাঁধা। শক্ত করে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা।
এই দেশকে, প্রিয় বাংলাদেশকে বুকে নিয়ে, জিআরই বাদ দিয়ে শরীফ ওসমান বিন হাদি নেমেছিলেন রাজপথে, ঘরে ফিরেছেন লাশ হয়ে। কেবল শত্রুর বুলেটই তার মস্তিষ্ক ভেদ করে যায়নি,সীমানা ভেদ করে খুনি চলে গেছে তার জন্মদাতা রাষ্ট্রে। আর আমার রাষ্ট্র নীরব দর্শক, আমার দেশ ব্যর্থ। আমার দেশ হিংস্র।
কতগুলো হৃদয়হীন-হিংস্র মানুষ আমাদের মাথার উপরে বসে আছে। আমার প্রিয় দেশে টিকে থাকার উপায় হয়তো তাদের গোলামি।
এই নির্লজ্জ দেশে দূর্বল আমিদের কোনো যায়গা নেই। এই নির্লজ্জ দেশে দূর্বল আমিরা কখনো হিংস্র হতে পারবোনা, কখনো তাদের গোলামি করতে পারবোনা।
হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে বার বার মনে আউড়াই, দেশান্তরেই কী তবে আমার মুক্তি??!
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।