তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে ইবি ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে ইবি ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল
  • Author, ইবি প্রতিনিধি
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রদল।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুুপুর ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল টেন্ট থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে ছাত্রদল পুনরয় টেন্টে গিয়ে সমবেত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

আনন্দ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন সহ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মী। এছাড়া এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক সংগঠনের নেতারা।

এসময় বিএনপি পন্থি ইউট্যাব সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, জুলাই বিপ্লবকে ভণ্ডুল করার জন্য ষড়যন্ত্র থেমে নাই। কয়েক দিন আগে জুলাই বিপ্লবের আরেক জন তাজা প্রাণকে হত্যা করা হলো। হাদি হত্যার মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয় যে জুলাই বিপ্লবের যে আদর্শ জুলাই বিপ্লবের যে উদ্দেশ্য যে কারণে অন্য একটি দেশের তাঁবেদার রাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশকে নিজ পায়ে দাঁড় করবার যে আন্দোলন সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এই ষড়যন্ত্র চলছে। এই সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দেওয়ার জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমান আগামী ২৫ তারিখে আসছে এবং তার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে চলে যাবে।

শাখা ছাত্রদল আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, তফসিল ঘোষণার পর বাংলাদেশ কিছু দলের লোকজনের মুখ কালো হয়ে গেছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে গেছে। এইসব মুখ কালো যারা করছে তাদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। এইসব মুখ কালো করে টালবাহানা করে লাভ হবে না। বাংলাদেশের কিছু লোক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমার ভাই হাদিকে যারা হত্যা করেছে সেই খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আজকে খুলনার আরেকজন সংগঠক মোতালিব শিকদারের উপরে গুলি বর্ষণ করে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ করেছে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে হাজার হাজার অস্ত্র অবৈধভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছে, এক লক্ষের ও বেশি গোলাবারুদ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত। এই অস্ত্রগুলো কার কাছে? ডক্টর ইউনূস মহোদয়, আপনি সেনাবাহিনীকে কেন নির্দেশ দিচ্ছেন না?

তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময় বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে কথা বলেছি। আমরা কখনোই আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে যাইনি। আমরা দশজন থেকেছি কিন্তু প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা একশ জন থেকেছি প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা এক হাজার জন থেকেছি প্রতিবাদ জানিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে কথা বলেছি। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছি। ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছি।
 

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ