হাদির স্মরণে ইবিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবী গান ও মিলাদ সন্ধ্যা

হাদির স্মরণে ইবিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবী গান ও মিলাদ সন্ধ্যা
  • Author, ইবি প্রতিনিধি
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে শহীদ ওসমান হাদির স্মরণে বিপ্লবী গান ও মিলাদ সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বাদ মাগরিবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে “ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট”-এর উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। এসময় বিভিন্ন নাতে রাসুল ও বিপ্লবী গান পরিবেশন করা হয়। শেষে মিলাদ অনুষ্ঠিত হয় এবং উপস্থিত দর্শকদের বাতাসা ও মুড়ি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

এসময় সংগঠনটির সভাপতি ওয়ায়েজ কুরুনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ধারণ করি, আমরা বাংলাদেশের পক্ষে আজীবন লড়ে যাব ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশের উপরে যদি কোনো আঘাত আসে আমরাই সবার প্রথমেই বুক পেতে দাঁড়িয়ে যাব। আমরা আমাদের দেশকে আর কোনো স্বৈরাচারের হাতে পড়তে দেব না ইনশাআল্লাহ। যুগে যুগে এভাবে আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিমদের মতো সর্বশেষ শহীদ ওসমান হাদির মতো বুক পেতে এভাবে দাঁড়িয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, আমরা আজকের এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই মেসেজটাই দিতে চেয়েছি। আমাদের দেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, আমাদের দেশে কালচারাল আধিপত্যবাদ হোক দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্বের ওপর আধিপত্যবাদ-কোনো আধিপত্যবাদ আমাদের এই প্রজন্ম আমরা মেনে নিবো না ইনশাআল্লাহ। আমরা আমাদের দেশকে ধারণ করব, লালন করব এবং দেশের যেকোনো প্রয়োজনে প্রয়োজনে জীবন দিতে প্রস্তুত আছি ইনশাআল্লাহ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, শহীদ ওসমান হাদির স্মরণে আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। বিপ্লবী গান শুনছিলাম, মিলাদ শুনছিলাম—অংশগ্রহণ করলাম আমরা। আমরা যেভাবেই হোক না কেন, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব শহীদ ওসমান হাদির শাহাদাত আল্লাহ কবুল করুন। আমরা সবাই মনেপ্রাণে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি এবং তার রুহের মাগফিরাতের জন্য আমাদের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা, যাবতীয় কার্যক্রম উৎসর্গ হওয়া উচিত। তার আত্মা যাতে শান্তি পায়, জান্নাতে আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখেন—সেভাবেই তার জন্য আমরা দোয়া করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা যদি মুখে বাংলাদেশ ধারণ করি, কাজে যদি অন্য দেশকে লালন করি, তাইলে কিন্তু আমাদের স্বপ্ন আজীবন বাস্তবায়িত হবে না। আমি মনে করি ২৪শে জুলাই আমাদের অন্তত একটি শিক্ষা দিয়েছে যে দেশকে ভালোবেসে অনেক কিছু করা যায়। কারণ হাসিনা যখন চলে যায়, কাপড় পরার সুযোগ কিন্তু পায় নাই। তাকে যদি কাপড় পরার সুযোগ দিত সে ভাবছিল হয়তোবা ওই সুযোগে মারা যাবে। অর্থাৎ ছাত্ররা কীভাবে দেশকে ধারণ করছে তার দৃষ্টান্ত কিন্তু এই আমাদের ওসমান হাদি।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ