ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে চলছে ৩৫ বস্তা টাকা গণনা, ৩ ঘণ্টায় মিললো ৮ কোটি
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
-
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১৩টি দান সিন্দুক খুলে ৩৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে আছে স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা। চলছে গণনার কাজ।
তিন মাস ২৭ দিন পর আজ শনিবার সকালে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এরপর শুরু হয় গণনার কাজ। গণনার প্রথম তিন ঘণ্টায় ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এখনও গণনার কাজ শেষ হইয়নি।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ডিজিএম রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন সকাল ৭টায় সিন্দুক খোলার সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্য বারের তুলনায় এবার দানবাক্স খোলার সময় পার হয়ে যাওয়ায় লোহার ১০টি দানসিন্দুক ছাড়াও অতিরিক্ত ৩টি টিনের বাক্স বসানো হয়েছিল। শনিবার সকালে মোট ১৩টি সিন্দুক খুলে ৩৫ বস্তা টাকা পাওয়া যায়।
টাকা ছাড়াও পাওয়া যায় বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট চার মাস ১৮ দিন পর মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে ১২ কোটি নয় লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। টাকা ছাড়াও ছিল বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা।
এদিকে, মসজিদটিকে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স হিসেবে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে, যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ কোটি টাকা। সেখানে ৪০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।