জাবির ভর্তি পরীক্ষায় দুইবার জালিয়াতি,পেলেন ৭দিনের কারাদণ্ড
- Author, জাবি প্রতিনিধি
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
-
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ (সম্মান) ‘ডি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (চ্যাটজিপিটি) ব্যবহার করে উত্তর দিয়ে উত্তীর্ণ হন এক শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে আজ ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আবারও চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের সময় তাকে আটক করা হয়। দুই দুইবার অসদুপায় অবলম্বন করলেও ভ্রাম্যমাণ আদালত এই ঘটনায় শুধুমাত্র সাত দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ 'এ' ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় ২য় শিফটে (১০টা ২৫মিনিটে)কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ১০২ কক্ষে পরীক্ষার সময় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করার সময় কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষক হাতেনাতে ধরেন তাকে।
ভর্তিচ্ছু আটক ঐ শিক্ষার্থীর নাম মো. মাহমুদুল্লাহ হাসান। তার পিতার নাম আব্দুস সোবহান। তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার আকাশকুড়ি গ্রামে।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর 'ডি' ইউনিটের পঞ্চম শিফটে ৩. ১৫ মিনিট থেকে ৪. ১৫ মিনিট ভর্তি পরীক্ষা দেয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৪০১ নাম্বার কক্ষে। তিনি ওইদিন প্রশ্নপত্রের ছবি চ্যাটজিপিটিতে দিয়ে উত্তর বের করে পরীক্ষা দেয়। গত ২৫ তারিখে 'ডি' ইউনিটের ফলাফল দিলে তিনি পঞ্চম শিফটে ২৪২ তম অবস্থান করে তার রোল নং ৪১৩৩৬৪২।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার জাবির 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ২য় শিফটে কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসসি) বিভাগের ১০২ কক্ষে পরীক্ষার সময় পিছনের দিকে বেঞ্চ বসে মোবাইলে ছবি তুলে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে উত্তর লিখছিলেন তখন দায়িত্বরত শিক্ষক হাতেনাতে ধরে।
জীববিজ্ঞান অনুষদের (ভারপ্রাপ্ত) ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার বলেন, 'ডি' ইউনিটের পরিক্ষার পরে তার উত্তরপত্র নিয়ে সন্দেহ করেছি। আজ দ্বিতীয়বার তার অসদুপায় সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ফলাফল বাতিল করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য এ. কে. এম. রাশিদুল আলম বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবগত করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর দুইটি ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রই বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে তিনি আর কোনো ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”
পরবর্তীতে সাভার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এসি ল্যান্ড) আবদুল্লাহ আল আমিন তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাকে ৭দিনের কারাদণ্ড দেন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।