বছরজুড়ে বহুমুখী কার্যক্রমে ইবি ছাত্রশিবির
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
-
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বছরজুড়ে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ। এরমধ্যে বিজ্ঞান উৎসব, শিক্ষাবৃত্তি, নবীন বরণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, কুরআন বিতরণ, কুরবানী ও ইফতার কর্মসূচি থেকে শুরু করে ভর্তি সহযোগিতা, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন-সহ নানা কার্যক্রমে দৃশ্যমান ভূমিকা রেখেছে শাখা ছাত্রশিবির।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার বিচার, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত, ইকসু গঠন, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসন-সহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় সংগঠনটিকে।
বছরের শুরুতে শীতবস্ত্র বিতরণ ও প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি। এরপর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মাঝে ২ হাজার অর্থসহ কুরআন বিতরণ কর্মসূচি পরিচালনা করে।বিজ্ঞানচর্চাকে উৎসাহ দিতে মে মাসে তিনদিনব্যাপী ‘ইসমাঈল আল-জাজারি বিজ্ঞান উৎসব’ আয়োজন করে ছাত্রশিবির; এতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন স্কুল থেকে প্রায় ৭শ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। বছরব্যাপী কুইজ প্রতিযোগিতা, হাফেজে কুরআন ও জিপিএ-৫ সংবর্ধনা, কুরআনিক কুইজ ও নবীন লেখক সম্মাননায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দেয় সংগঠনটি।
পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুস্থ শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বছরের বিভিন্ন সময়ে শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ফুটবল প্রতিযোগিতা, ভলিবল টুর্নামেন্ট ও ফ্রেশার্স শর্ট পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট'সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করে সংগঠনটি।
সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো, ক্যাম্পাসের রাস্তাঘাট সংস্কার, বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নেয় ছাত্রশিবির।
এছাড়াও ক্যাম্পাসের আনসার, ভ্যানচালক ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন অসহায় স্হানীয়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় হেল্পডেস্ক ও উপকরণ সরবরাহ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরিবহন সহযোগিতা, এবং শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামে আলোচনায় আসে সংগঠনটি।
ধর্মীয় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, কুরবানীর আয়োজন ও বছরজুড়ে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীকে অর্থসহ কুরআন বিতরণ করে শাখা ছাত্রশিবির। রমজানে ১৭শ শিক্ষার্থীদের নিয়ে গণ-ইফতারের আয়োজন করে সংগঠনটি।
আন্তর্জাতিক সংহতির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন ও সংহতি কর্মসূচি পালন করে তারা। এছাড়া অক্টোবর মাসে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে ডেস্ক ক্যালেন্ডার বিতরণ এবং নভেম্বরে ২ হাজার নবীন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন উপহারসামগ্রীসহ বরণ করে নেয় ছাত্রশিবির।
শহীদদের পরিবার সাক্ষাৎ, কবর জিয়ারত ও ঐতিহাসিক দিবস পালনের মাধ্যমে ছাত্রশিবির বছরের নানা সময় অতীতের আদর্শ ও ত্যাগ স্মরণ করতে দেখা যায়। ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং বছরের নানা সময়ে শিক্ষক-সাংবাদিক-ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে সম্পর্ক রক্ষার উদ্যোগ নিতে দেখা যায় সংগঠনটিকে।
এছাড়াও ক্যাম্পাসের হল সমূহে দুই শতাধিক বৃক্ষরোপণসহ বছরব্যাপী নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এই ছাত্র সংগঠন। যার মধ্যে কিছু কাজ এখনো চলমান।
বছরজুড়ে কার্যক্রম নিয়ে শাখা-ছাত্রশিবিরের সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে ছাত্রকল্যাণমূলক যতগুলো কাজ করা দরকার এবং ছাত্রসংগঠন হিসেবে যেভাবে রুল প্লে করা দরকার- আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি, আল্লাহ যতটুকু সুযোগ দিয়েছেন ততটুকু আমরা করতে পেরেছি। এ বছর আমাদের পরিকল্পনার অনেকগুলা বিষয় বাস্তবান করতে পেরেছি, আর কিছু বিষয় সময় স্বল্পতা এবং বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আশা করি সেসব পরিকল্পনা গুলোও আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন করতে পারব ইনশাল্লাহ।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।