সরেজমিনে দেখা গেছে, সংসদ ভবনসংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, বিজয় সরণি ও পুরাতন বাণিজ্য মেলা এলাকার সড়কজুড়ে সাধারণ মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে প্রিয় নেত্রীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভিড় সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

জানাজা শেষে বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে তার স্বামী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে দাফন করার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে জিয়া উদ্যান এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উদ্যানের ভেতর ও বাইরে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।

এদিকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব জানাজা পরিচালনা করবেন বলে জানানো হয়েছে।

দুপুর দেড়টার পরও রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের স্রোত সংসদ ভবনের দিকে আসতে দেখা গেছে। বিজয় সরণি, মহাখালী, আগারগাঁও, শ্যামলী ও ফার্মগেটমুখী সড়কগুলোতে মানুষের চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। বিশেষ করে মিরপুর সড়কে আন্তর্জাতিক চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পর থেকে যান ও মানুষের চলাচল প্রায় থেমে যায়। ওই অংশে হাজারো মানুষ দাঁড়িয়ে থেকেই জানাজায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন।

তবে জিয়া উদ্যানের পর মিরপুর সড়কে জানাজার মাইক না পৌঁছানোয় অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। জানাজা আদৌ শেষ হয়েছে কি না—এ নিয়ে নানা প্রশ্ন করতে দেখা যায় অপেক্ষমাণ মানুষের মধ্যে।

সমগ্র এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রেখেছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং জনসমাগম সামাল দিতে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।