১. নিয়ন্ত্রণে থাকা বিষয়ে মনোযোগ দিন
অতিরিক্ত চিন্তা তখনই শুরু হয়, যখন আমরা নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিষয় নিয়ে ভাবি। এর পরিবর্তে যেসব বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে, সেগুলোতে মনোযোগ দিন। নিজের কাজ ও লক্ষ্যে ফোকাস করলে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়।  

২. ৭২ ঘণ্টার নিয়ম  
একটি সহজ কৌশল হলো নিজেকে প্রশ্ন করা—এই বিষয়টি ৭২ ঘণ্টা পর কতটা গুরুত্বপূর্ণ হবে? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আমরা যেসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করি, সেগুলো ভবিষ্যতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। এই নিয়ম অনুসরণ করে ছোট ছোট উদ্বেগ দূর করা যায়।  

৩. চিন্তার চক্র ভাঙুন  
অতিরিক্ত চিন্তা একটি বদঅভ্যাস, যা বারবার মাথায় ঘুরপাক খায়। এই চক্র ভাঙতে সচেতনভাবে চেষ্টা করুন। চিন্তা শুরু হলে বিরতি নিন, গভীর শ্বাস নিন এবং অন্য কোনো কাজে মনোনিবেশ করুন।  

৪. ৫ মিনিটের টাইমার সেট করুন  
চিন্তা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন, যেমন ৫ মিনিট। এই সময়ের মধ্যে যা চিন্তা করতে চান, তা করুন। কিন্তু সময় শেষ হলে চিন্তা বন্ধ করে দিন। এটি চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।  

৫. নেতিবাচক চিন্তা বন্ধ করুন  
মানুষের মস্তিষ্ক প্রায়ই খারাপ পরিস্থিতি কল্পনা করে, যা অনেক সময় অযৌক্তিক হয়ে থাকে। নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে দূরে রাখুন এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখুন।  

৬. সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করুন  
সমস্যাগুলোর প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন। অনেক সময় সমস্যা যতটা বড় মনে হয়, তা ততটা গুরুতর নাও হতে পারে। সমস্যা সমাধানে বিশ্বস্ত মানুষের পরামর্শ নিন, সম্ভাব্য সমাধান লিখে রাখুন এবং চিন্তা কমানোর চেষ্টা করুন।  

এই সহজ উপায়গুলো অনুসরণ করে অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে পারেন।