গত ৩ এপ্রিল ভারতের লোকসভায় পাস করা এই বিতর্কিত বিলটি মুসলমানদের মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ ধর্মীয় সম্পদের উপর সরকারি হস্তক্ষেপ ও দখলের পথ তৈরি করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আইনটি মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মালিকানা অধিকার লুণ্ঠনের জন্য বিজেপি সরকারের সুপরিকল্পিত একটি পদক্ষেপ।

এছাড়াও বিলটির মাধ্যমে ওয়াকফ বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে অমুসলিম ২ জন সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে ওয়াকফ বোর্ডের স্বাধীনতা খর্ব হবে এবং মুসলিমদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সরকারি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা বাড়বে। অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, এই বিলটি রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য পূরণের জন্য প্রণীত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতে বর্তমানে ২৫ কোটির বেশি মুসলমানের বসবাস রয়েছে। তবে বিজেপি সরকারের নীতি ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় অধিকার ও স্বাধীনতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। শতাব্দীপুরাতন মসজিদ ও মাদ্রাসা ধ্বংসের পাশাপাশি মুসলমানদের ‘তিন তালাক’ ব্যবস্থা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লাভ ম্যারিজের নামে ধর্মান্তর প্রক্রিয়াকেও সীমিত করা হয়েছে। গরুর গোশত রাখার অযুহাতে মুসলমানদের প্রায়ই হিংসার শিকার করা হচ্ছে। এমনকি, ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হচ্ছে।

অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, এসব কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে বিজেপি সরকার মুসলমানদের প্রতি চরম বিদ্বেষ পোষণ করে।

জামায়াতে ইসলামী ভারতের বিজেপি সরকারকে এসব মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, ভারতের মুসলমানদের জীবন, সহায়-সম্পত্তি এবং স্বার্থ রক্ষায় সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং তাদের নিরাপত্তা বিধানে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।

সূত্র: জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের বিবৃতি