শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটু দূরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম লাভলু মিয়া (৫০)। তিনি আজ বিকেলে আনুমানিক ৪ ঘটিকায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর তথ্য সত্যতা  নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে রায়হান আলী।

আহতদের মধ্যে লাভলুসহ  আরো চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। গুরুতর আহত ৯ জনকে দ্রুত উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যজনকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয় ।

সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, লাভলু আমার পারিবারিক সদস্য ও নিবেদিত একজন আদর্শ  রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। তাকে অন্যায়ভাবে বদরগঞ্জ বাজারে প্রকাশ্যে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মাথায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছেন কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হক ও তার ছেলে তমালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী।

তবে শহিদুল হক মানিক এই হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, তার ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে তিনি বা তার ছেলে জড়িত নন বলে দাবি করেন। 

বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক শাকির মুবাশ্বির গণমাধ্যম  বলেন, আহত ৯ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রত্যেকের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিক বলেন, আমরা কোনো হামলা করিনি, কোনো গাড়ি ভাঙচুরও করিনি। সাবেক এমপি বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষরা ফেসবুকে অপপ্রচার ছড়িয়েছিল। এ কারণে তার অনুসারীরা কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছিল। প্রতিপক্ষ রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর ও টিনের দোকানে হামলা চালিয়েছে।

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, মূলত একটা দোকানকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে আছেন। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।