সোমবার সম্মেলনের প্রথম দিন দুটি ট্র্যাকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। প্রথম ট্র্যাকে ৬০ জনেরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীকে নিয়ে একটি স্পেশাল ফ্লাইট চট্টগ্রামে যাবে। সেখানে তারা কোরিয়ান ইপিজেড ও মিরসরাইতে অবস্থিত স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করবেন। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে তারা সরেজমিনভাবে দেখবেন, কীভাবে এই জোনগুলো বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করছে। রাতে তারা ঢাকায় ফিরে আসবেন।

দ্বিতীয় ট্র্যাকে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘স্টার্টআপ কানেক্ট’ নামে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলবে। এখানে আরলি স্টেজ স্টার্টআপ এবং ভেঞ্চার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ম্যাচ মেকিং, নেটওয়ার্কিং ও প্যানেল ডিসকাশনের আয়োজন রয়েছে। সারাদিন স্টার্টআপ ইভেন্টকে ফোকাস করা হবে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে বিনিয়োগকারীরা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত জাপানি ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করবেন। এখানে তারা স্থানীয় কারখানার মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জানবেন, এখানে কী ধরনের কর্মকাণ্ড চলছে এবং বিনিয়োগের জন্য কতটুকু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে বিশ্বব্যাংক ও আইএলওর সঙ্গে এফডিআই সংক্রান্ত আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিনিয়োগের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও কিছু বিনিয়োগকারীকে পুরস্কৃত করা হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বক্তব্য শোনা হবে। পরবর্তীতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ইয়ুথ এন্টারপ্রেনারশিপ মেলার আয়োজন থাকবে। একই সঙ্গে রিনিউয়েবল এনার্জি নিয়ে আলোচনা হবে এবং বেশ কয়েকটি কম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, “এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য একটি বেটার ডেস্টিনেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। বিনিয়োগকারীদের সরেজমিন অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন আলোচনা থেকে আমরা কী করলে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ আরও উন্নত হবে, তা বুঝতে চেষ্টা করব।”

এই সম্মেলনটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার পাশাপাশি স্থানীয় উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপদের জন্য নতুন সুযোগের দরজা খোলার আশা করা হচ্ছে।