রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের একাধিক শহরে আতঙ্ক

রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের একাধিক শহরে আতঙ্ক
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান সশস্ত্র সংঘর্ষের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। গত রবিবার রাশিয়া কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার ফলে বেসামরিক জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিসচিকো জানিয়েছেন, “রাশিয়া মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চালু আছে। সবাই যেন ঘরের ভেতরে থাকে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, কিছু বাড়ি ও গাড়িতে আগুন লেগেছে, তবে সেই বাড়িগুলোতে বর্তমানে কেউ বসবাস করে না।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে মস্কো ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। উত্তরের চের্নিহিভ অঞ্চল এবং দক্ষিণের মাইকোলাইভ শহরে রাশিয়া ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে দুটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির শহর ক্রিভি রিয়া আক্রান্ত হয়। সেখানে ১৮ জন নিহত হয়, যার মধ্যে ৯ জন শিশু। তিন বছর বয়সী একটি শিশুও এই হামলায় মারা যান।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা রবিবার রাতে ইউক্রেনের ১১টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। এই ড্রোনগুলো কুরস্ক, বেলগোরোদ ও রস্তভ অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল বলে রাশিয়া দাবি করছে। তবে রাশিয়া জানিয়েছে, ড্রোন আক্রমণে কোনো ক্ষতি হয়নি।

রাশিয়া আরও দাবি করেছে, তারা পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে দুটি গ্রাম দখল করে নিয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া সম্পূর্ণ নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। তিনি মার্কিন প্রতিক্রিয়ায় হতাশ বলে জানিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেছেন, “ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাজি। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এখনো রাজি হননি। আমরা এখনো আমেরিকার প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বিশ্বের সব দেশের দিকে আহ্বান জানিয়েছেন যারা শান্তি চায়, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করুক।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছেন, “রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় বা কালক্ষেপণ করতে থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

ম্যাখোঁ আরও বলেছেন, “রাশিয়া সমানে বেসামরিক মানুষ ও শিশুদের ওপর হামলা করে যাচ্ছে। এটা অসহনীয়। ক্রিভি রিয়াতে রাশিয়ার হামলায় ৯ জন শিশু মারা গেছে। তার মধ্যে তিন বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে।”

এই সময়ে ইউক্রেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছে। জেলেনস্কি আহ্বান জানিয়েছেন, রাশিয়ার ওপর সব ধরনের চাপ দিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেছেন, “শান্তি ফিরে আসতে হবে। বেসামরিক মানুষের ক্ষতি আর বন্ধ করতে হবে।”


সম্পর্কিত নিউজ