ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও পরীক্ষা: কখন সতর্ক হবেন?

ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও পরীক্ষা: কখন সতর্ক হবেন?
ছবির ক্যাপশান, ছবি সংগৃহীত
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

ডায়াবেটিস নামক রোগটি আজকাল প্রায় সবাই চেনেন। এটি একটি বিপাকজনিত রোগ, যা বিশ্বজুড়েই দিন দিন বাড়ছে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা পৃথিবীতেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা এবং এর লক্ষণগুলো জানা খুবই জরুরি।

ডায়াবেটিস কী?

আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই, তা থেকে শর্করা ভেঙে গ্লুকোজ বা চিনি তৈরি হয়। এই গ্লুকোজ শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য ইনসুলিন নামক হরমোন প্রয়োজন। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন গ্লুকোজকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে, যার মাধ্যমে শক্তি উৎপাদিত হয়। কিন্তু যখন শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে যায় বা একেবারেই তৈরি হয় না, তখন রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই অবস্থাকেই ডায়াবেটিস বলা হয়।

ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ইনসুলিনের ভূমিকা অপরিহার্য। শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতি কম থাকলে ওষুধের মাধ্যমে, আর বেশি ঘাটতি থাকলে ইনসুলিন ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির পুষ্টিবিদ ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, ডায়াবেটিস যে কোনো বয়সেই হতে পারে। তবে অনেক সময় মানুষ বুঝতেই পারেন না যে তাদের শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধছে। ডায়াবেটিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে, যা দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করা উচিত। যেমন:

  1. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া: যদি প্রস্রাবের পরিমাণ ও ফ্রিকোয়েন্সি বেড়ে যায়, তবে সতর্ক হোন।

  2. অতিরিক্ত পিপাসা লাগা: বারবার পানি পিপাসা পাওয়া ডায়াবেটিসের একটি সাধারণ লক্ষণ।

  3. অতিরিক্ত ক্ষুধা: স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্ষুধা লাগলে সতর্ক হতে হবে।

  4. ক্লান্তি ও দুর্বলতা: শরীরে শক্তির অভাব এবং অবসাদ অনুভব করা।

  5. ওজন কমে যাওয়া: পর্যাপ্ত খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে গেলে এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।

অন্যান্য লক্ষণ

পুষ্টিবিদ ফাতেমা তুজ জোহরা আরও কিছু লক্ষণের কথা উল্লেখ করেন, যা দেখা দিলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা জরুরি:

  1. চোখে ঝাপসা দেখা: দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে বা ঝাপসা দেখলে সতর্ক হোন।

  2. ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া: শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ক্ষত হলে তা শুকাতে অনেক সময় লাগলে।

  3. ঘন ঘন ইনফেকশন: প্রস্রাবের ইনফেকশন বা অন্যান্য সংক্রমণ বারবার হলে।

কখন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাবেন?

পুষ্টিবিদের মতে, পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে বা বয়স ৩০ বছরের বেশি হলে নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত। কারণ, ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো অনেক সময় স্পষ্ট না হলে ধীরে ধীরে এটি শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। সময়মতো পরীক্ষা না করালে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে।

শেষ কথা

ডায়াবেটিস একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ, তবে সঠিক সময়ে এর লক্ষণ চিনে নেওয়া এবং চিকিৎসা শুরু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করানো এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সচেতনতাই পারে ডায়াবেটিসের মতো রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

ডায়াবেটিস কী?

আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই, তা থেকে শর্করা ভেঙে গ্লুকোজ বা চিনি তৈরি হয়। এই গ্লুকোজ শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য ইনসুলিন নামক হরমোন প্রয়োজন। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন গ্লুকোজকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে, যার মাধ্যমে শক্তি উৎপাদিত হয়। কিন্তু যখন শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে যায় বা একেবারেই তৈরি হয় না, তখন রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই অবস্থাকেই ডায়াবেটিস বলা হয়।

ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ইনসুলিনের ভূমিকা অপরিহার্য। শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতি কম থাকলে ওষুধের মাধ্যমে, আর বেশি ঘাটতি থাকলে ইনসুলিন ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির পুষ্টিবিদ ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, ডায়াবেটিস যে কোনো বয়সেই হতে পারে। তবে অনেক সময় মানুষ বুঝতেই পারেন না যে তাদের শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধছে। ডায়াবেটিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে, যা দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করা উচিত। যেমন:

  1. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া: যদি প্রস্রাবের পরিমাণ ও ফ্রিকোয়েন্সি বেড়ে যায়, তবে সতর্ক হোন।

  2. অতিরিক্ত পিপাসা লাগা: বারবার পানি পিপাসা পাওয়া ডায়াবেটিসের একটি সাধারণ লক্ষণ।

  3. অতিরিক্ত ক্ষুধা: স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্ষুধা লাগলে সতর্ক হতে হবে।

  4. ক্লান্তি ও দুর্বলতা: শরীরে শক্তির অভাব এবং অবসাদ অনুভব করা।

  5. ওজন কমে যাওয়া: পর্যাপ্ত খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে গেলে এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।

অন্যান্য লক্ষণ

পুষ্টিবিদ ফাতেমা তুজ জোহরা আরও কিছু লক্ষণের কথা উল্লেখ করেন, যা দেখা দিলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা জরুরি:

  1. চোখে ঝাপসা দেখা: দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে বা ঝাপসা দেখলে সতর্ক হোন।

  2. ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া: শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ক্ষত হলে তা শুকাতে অনেক সময় লাগলে।

  3. ঘন ঘন ইনফেকশন: প্রস্রাবের ইনফেকশন বা অন্যান্য সংক্রমণ বারবার হলে।

কখন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাবেন?

পুষ্টিবিদের মতে, পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে বা বয়স ৩০ বছরের বেশি হলে নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত। কারণ, ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো অনেক সময় স্পষ্ট না হলে ধীরে ধীরে এটি শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। সময়মতো পরীক্ষা না করালে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে।

শেষ কথা

ডায়াবেটিস একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ, তবে সঠিক সময়ে এর লক্ষণ চিনে নেওয়া এবং চিকিৎসা শুরু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করানো এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সচেতনতাই পারে ডায়াবেটিসের মতো রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।


সম্পর্কিত নিউজ