মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ল
চুক্তি সই হতে যাচ্ছে জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কক্সবাজারের মহেশখালীতে নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য জাপানের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে। আগামী ২২ এপ্রিল ঢাকায় এই চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। তবে প্রকল্পটির সময়সীমা তিন বছর পিছিয়ে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাপানের পেন্টা ওশান কনসোর্টিয়াম এবং থোয়া করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি হবে, যার আওতায় ৬,২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি জেটি সমন্বিত একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এই অর্থায়ন করছে।
মূলত ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর করা হয়েছে। এতে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৪,৩৮১ কোটি টাকা, যা আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
ইতিমধ্যে সমুদ্রে ব্রেকওয়াটার (বাঁধ) এবং ৬.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি নৌচ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা বহনকারী জাহাজগুলো এখানে ভিড়লেও পূর্ণাঙ্গ বন্দর চালু হতে আরও পাঁচ বছর লাগবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, "জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। নির্মাণকাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, যা দ্রুত কাজ শেষ করতে সহায়ক হবে।"
২০৩০ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) চলাচল শুরু করবে এই বন্দর। প্রাথমিকভাবে বছরে ১১ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করার সক্ষমতা থাকবে, যা ২০৪১ সাল নাগাদ ২৬ লাখে উন্নীত হবে।
এই বন্দর চালু হলে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টন ধারণক্ষমতার জাহাজ সরাসরি পণ্য নিয়ে আসতে পারবে, যা বন্দর ও পণ্য পরিবহন খরচ কমিয়ে দেবে।