৯০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি: ইসরায়েলের কারাগার থেকে খালিদা জাররারও মুক্ত

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ৯০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গতকাল রোববার এ মুক্তি কার্যকর করা হয়। মুক্তি পাওয়া সবাই নারী ও শিশু। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ ও পশ্চিম তীরের পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি)-এর নেতা খালিদা জাররার।
খালিদা জাররার একসময় ফিলিস্তিনি পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাঁকে নির্জন কারাকক্ষে আটকে রেখেছিল। মুক্তির পর তাঁর শীর্ণ চেহারা দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাদের ওপর পাথর ছোড়ার অভিযোগে এসব শিশুকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আল-জাজিরার সংবাদদাতা নিদা ইব্রাহিম জানান, ইসরায়েলের কারাগারে এমন শত শত বন্দী রয়েছেন, যাঁদেরকে প্রশাসনিকভাবে আটক রাখা হয়েছে। এটি ইসরায়েলের একটি কৌশল, যার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাধারণ মানুষকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখা হয়।
ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের সংগঠন প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স সোসাইটি এবং সাবেক কারাবন্দীদের জন্য গঠিত কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম তীর থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ১০ হাজারের বেশি মানুষ এখনো ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তবে চলমান যুদ্ধের সময় গাজা উপত্যকা থেকে কতজনকে আটক করা হয়েছে, তার সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজা থেকে ইসরায়েলে জিম্মিদের ফিরতে শুরু করেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, প্রথম দফায় তিনজন জিম্মি তাদের পরিবারের কাছে ফিরেছেন।
গতকাল স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১১টায় গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই চুক্তি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার।
এই মুক্তি ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বস্তির খবর হলেও, এখনো হাজার হাজার বন্দী ইসরায়েলের কারাগারে রয়েছেন। তাদের মুক্তি ও মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো ভূমিকা কামনা করা হচ্ছে।