শরীরের পানির প্রয়োজনীয়তা, সুস্থ জীবনের অপরিহার্য উপাদান

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
বর্তমান সময়ে দ্রুতগতির জীবনধারা ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করা ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, পানির অভাব শরীরে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং দৈনন্দিন জীবনে কর্মক্ষমতা হ্রাস করে।
মানবদেহের প্রায় ৬০-৭০ শতাংশই পানি দিয়ে গঠিত। শারীরিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, কোষে পুষ্টি পরিবহন, বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন—এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ পানির মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। গরমকালে ঘাম ও ঘন ঘন প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহ থেকে পানি বেরিয়ে যায়, ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এই অবস্থাকে 'ডিহাইড্রেশন' বলা হয়, যা দুর্বলতা, মাথাঘোরা, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও কখনো কখনো গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক গড়ে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। তবে এই চাহিদা ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা, আবহাওয়া ও কাজের ধরণ অনুযায়ী কম-বেশি হতে পারে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুষ্টিবিদ ডা. সায়মা নাহার বলেন, "পানি শুধু তৃষ্ণা মেটানোর জন্য নয়, এটি শরীরের প্রতিটি কোষের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারীদের নিয়মিত ও পর্যাপ্ত পানি পানের বিষয়ে যত্নবান হওয়া জরুরি।"
সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণকে পর্যাপ্ত পানি পানের বিষয়ে সচেতন করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাপদাহের এই সময়ে বিশুদ্ধ পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিই হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর অন্যতম উপায়।