গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত
ছবির ক্যাপশান, ছবি সংগৃহীত
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর তীব্র হামলায় গত শুক্রবার একদিনেই অন্তত ৬৪ বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গাজার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে সমন্বিত হামলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৭ হাজার আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। সাম্প্রতিক হামলায় গাজার প্রধান শহর ও উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বর্তমানে ইসরায়েলি সেনারা রাফা শহরের কাছে শাবৌর ও তেল আস সুলতান এলাকায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে, যেখান থেকে এসব হামলা পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করাই তাদের মূল লক্ষ্য। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান জানালেও ইসরায়েল তা উপেক্ষা করে চলেছে। গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে সামরিক অভিযান তীব্র করার পর গাজায় সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, গুড ফ্রাইডে উপলক্ষে গাজার খ্রিস্টান সম্প্রদায় অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ইহাব আয়াদ জানান, ইসরায়েলি হামলায় তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন সম্পূর্ণ বিঘ্নিত হয়েছে। অনেকের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় প্রথাগত উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল এই যুদ্ধ শুরু করলেও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এর প্রভাব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘের আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে, পাশাপাশি দেশটির অভ্যন্তরেও যুদ্ধবিরতির দাবিতে আন্দোলন জোরালো হচ্ছে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস না করা পর্যন্ত তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।


সম্পর্কিত নিউজ