জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা উত্তরের থানা প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
রাজধানীর গুলশানের ১ এর সেলিব্রেটি কনভেনশন হলে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা মহানগর উত্তরের থানা প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এবং প্রাধান সংবিধান সংস্কার কমিশনের ড. আলি রিয়াজ।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আমাদের সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটি যখন গঠন হল, তখন তারা সবাই গিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গেলেন। ড. কামাল হোসেন সংবিধানের কি বোঝেন? বাংলাদেশে সংবিধানে লেখা হয়েছিল, সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সংসদে। এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে মালিকানা। সমস্ত ক্ষমতার উৎস হচ্ছে জনগণ। জনগণই ক্ষমতার কেন্দ্র। উৎস বলতে বোঝায়, আপনি (জনগণ) ক্ষমতা দিলেন, আরেকজন চালাবার জন্য। আপনি (জনগণ) মালিকানা দেন না, ম্যানেজারি করার ক্ষমতা দেন।
সলিমুল্লাহ খান আরো বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব হচ্ছে অবিভক্ত অখণ্ড। বাংলাদেশের ১৮ কোটি লোক মিলে সার্বভৌমত্ব। একজনের ওপর, দুজনের ওপর সার্বভৌমত্ব হয় না। কিন্তু আমরা কার্যত এক ব্যক্তির হাতে, এক পরিবারের হাতে ন্যস্ত করেছিলাম। এটা হচ্ছে আমাদের ঐতিহাসিক ভুল অথবা ব্যর্থতা। সার্বভৌমত্ব জিনিসটা যেমন বিক্রয় করা যায় না, কারও হাতে তুলেও দেওয়া যায় না। সেই জন্যে সংসদ নির্বাচন করা হয় বিশেষ কিছু কাজ দেওয়ার জন্য, মালিক হওয়ার জন্য নয়। যেটা দেওয়া হয়, নির্দিষ্টকালীন শাসনের ভার।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাইনুল আহসান খান বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের কথায় যদি যুদ্ধ হতো, তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না। আবার বুদ্ধিজীবীদের কথায় যদি আন্দোলন হতো তাহলে বিপ্লব হতো না। আইন হচ্ছে যত অন্যায় অবিচার রয়েছে, তা প্রতিহতের জন্য। আর আমাদের দেশের আইন হলো, যত অন্যায়-অবিচার রয়েছে তা রক্ষা করার জন্য। লক্ষ্য করবেন, যাদের কোনো উপায় নেই, আইন সব সময় তাদেরই নিপীড়ন করে, শোষণ করে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাবি আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মাইমুল আহসান খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার তুষার। মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, প্রমুখ।