গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা আনতে সক্রিয় সরকার, সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ওপর নজর

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের হাতে গড়ে ওঠা গণমাধ্যমগুলোর সার্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব গণমাধ্যমের মালিকানা, কর পরিশোধ, প্রচারসংখ্যা এবং অন্যান্য আর্থিক ও নীতিগত দিক নিয়ে বিস্তারিত যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তুতি চলছে।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম আজ ডিএফপি মিলনায়তনে অংশীজনদের সঙ্গে এক সভায় বলেন, "বিগত সরকারের সময় বহু মন্ত্রী-এমপি নানা উপায়ে গণমাধ্যমের মালিক হন। এখন সময় এসেছে এসব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার।"
তিনি জানান, কোন কোন গণমাধ্যম নিয়মিত ট্যাক্স দেয়, আবার কারা এড়িয়ে যাচ্ছে—এসব বিষয়েও অনুসন্ধান চলবে। সরকার চায় না কোনো সংবাদপত্র বন্ধ হোক, তবে প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এ সময় তিনি আরও জানান, সংবাদপত্রের গুণগত মান উন্নয়নে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের পরিকল্পনা করছে সরকার। এই টাস্কফোর্স সংবাদপত্রের প্রকৃত প্রচারসংখ্যা নির্ধারণ, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন, বিজ্ঞাপন হার পুনঃনির্ধারণসহ সংবাদপত্র খাতে সংস্কারে কাজ করবে।
মাহফুজ আলম বলেন, "যেসব সংবাদপত্র সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে প্রকাশিত হবে, কেবল সেসবই সরকারি বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার আওতায় আসবে।"
সভায় আরও আলোচনা হয় সংবাদপত্র নিরীক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদানে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা এবং গণমাধ্যম খাতে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে।
উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম এবং প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ প্রমুখ।
সরকারের এই উদ্যোগকে অনেকেই গণমাধ্যমে দায়বদ্ধতা ও পেশাগত মানোন্নয়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।