দীর্ঘঘুম — স্বাস্থ্যকর না অস্বাস্থ্যকর? বিশেষজ্ঞদের ভিন্নমত

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ঘুম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। তবে "দীর্ঘঘুম" বা অতিরিক্ত সময় ধরে ঘুমানো—স্বাস্থ্যকর না অস্বাস্থ্যকর, এ নিয়ে সম্প্রতি মতবিরোধ দেখা দিয়েছে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত। কিন্তু নিয়মিতভাবে ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমালে তা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।
দীর্ঘসময় ঘুমালে অনেক সময় মস্তিষ্কে স্থবিরতা তৈরি হয় এবং মানুষ অলস বোধ করে। পাশাপাশি এটি বিষণ্নতা, স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আবার অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, "সবার ঘুমের চাহিদা এক নয়। কিছু ব্যক্তি জন্মগতভাবেই বেশি ঘুমের প্রবণতা নিয়ে জন্মান। তাই দীর্ঘঘুম সব সময় ক্ষতিকর এমন বলা যাবে না। বরং ঘুমের গুণগত মান বেশি গুরুত্বপূর্ণ।"
গবেষণার ফলাফল- একটি আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমান, তাদের মধ্যে হৃদরোগে মৃত্যুহার প্রায় ৩৩% বেশি। তবে গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে এটি ঘুম নয় বরং ঘুমের পেছনের কারণ, যেমন অবসাদ বা অপরিচিত রোগ, হতে পারে মৃত্যুঝুঁকির মূল উৎস।
সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা - রাজধানীর বাসিন্দা আফসানা রহমান বলেন, "আমি সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ১০ ঘণ্টা করে ঘুমাই, তাতে শরীর ও মন দুটোই সতেজ লাগে। তবে কাজের দিনে কম ঘুমের কারণে খুব ক্লান্তি অনুভব করি।"
"দীর্ঘঘুম" স্বাস্থ্যকর না অস্বাস্থ্যকর তা এককথায় বলা কঠিন। ঘুমের পরিমাণ নয়, বরং ব্যক্তির ঘুমের ধরন, সময় এবং শারীরিক অবস্থা বুঝে পরিমিত ঘুম নিশ্চিত করাই শ্রেয়। কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিনই ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমান এবং দিনভর ক্লান্ত বোধ করেন, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।